সিগারেট খাওয়ার কারণে এক ব্যক্তিকে ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার পুরস্কার !

যেখানে ধূমপান থেকে সবাইকে বিরত রাখতে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে সতর্ক বার্তাসহ নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সেখানে সিগারেট খাওয়ার কারণে এক ব্যক্তিকে ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত মিচেল জনসন নামের ওই ব্যক্তি একজন মার্কিন নাগরিক। তবে তিনি জীবদ্দশায় এ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন নি। তার পক্ষে তার স্ত্রী এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সিগারেট ব্রান্ড ক্যামেলের প্যাকেটের গায়ে ‘সিগারেট খেলে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়’ এই কথাটা লেখা না থাকায় এই পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে বাধ্য হয় আরজে রেনল্ডস টোবাকো। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

গত শুক্রবার রাতে ফ্লোরিডার পেনসাকোলা আদালত এই আদেশ জারি করেন।

মিচেল জনসন ১৯৯৬ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ফুসফুস ক্যান্সারে মারা যান। জনসন জীবিত অবস্থায় প্রতিদিন ৬০টি সিগারেট টানতেন। টানা বিশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই হারে সিগারেট টেনে গেছেন।

২০০৮ সালে তার স্ত্রী তার পক্ষে ফ্লোরিডার আদালতে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

জনসনের পক্ষের আইনজীবি ক্রিস চেস্টনাট জানান, জনসন মৃত্যুর দিনেও সিগারেট টেনে গেছেন। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও সিগারেট ছাড়েননি।

টানা চার সপ্তাহ দুই পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্কের উপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সিগারেট কোম্পানি তাদের পণ্যের মোড়কে ‘ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ’ এই কথাটি লেখেনি। যে কারণে জনসনের বর্তমান স্ত্রী এবং সন্তানদের ৭৩ লাখ ডলার এবং তার আগের ঘরের সন্তানদের ৯৬ লাখ ডলার জরিমানা পাবেন সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে। এছাড়াও বিচারক মামলাকারীর দাবি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটিকে অভিযোগকারী বরাবর ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার দিতে আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০২ সালে আরজে রেনল্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে ফিলিপ মরিস নামের আরেক ব্যক্তি মামলা ঠুকেছিল। সে সময় আদালত কোম্পানিটিকে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার জরিমানা করে। যদিও পরবর্তীতে মামলাকারীর সঙ্গে কোম্পানিটি আপোষ রফার মাধ্যমে জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২৮ লাখ ডলারে আনা হয়।

 

 

Exit mobile version