Saturday, December 21, 2024
Homeঅবাক বিশ্বগাছটি আসলে একটি মাংসাশী গাছ।

গাছটি আসলে একটি মাংসাশী গাছ।

আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এই সকল গাছের মধ্যে কোনো গাছ ভেষজ ও উপকারী। আবার কোনো কোনো গাছ হয় অপকারী ও ভয়ংকর প্রজাতির।

তেমনই একটি গাছ হচ্ছে নেপেন্থেস অ্যাটেনবারোওঘি। এটি এর বৈজ্ঞানিক নাম। দেখতে যত সুন্দর আর নিরীহই হোক না কেন, গাছটি আসলে একটি মাংসাশী গাছ। নানা কীটপতঙ্গ, পোকা-মাকড়, এমনকি বড় বড় ইঁদুর পর্যন্ত গিলে খায় এটি।

আঞ্চলিক রীতিমত এই গাছটি কলসী গাছ নামেও পরিচিত। কেননা এটি দেখতে অনেকটা কলসীর মতো। আর এই কলসীর ভিতর লাল রঙের মধুর মতো এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে। যেখানে মধু সেখানে পোকা-মাকড় আসারই কথা।

এই কলসির মতো কাঠামোর মধ্যে যখন কোনো পোকা-মাকড় মধু খেতে আসে তখন পা পিছলে এর ভিতরে পরে যায় এবং এটির উপরে একটা ঢাকনা থাকায় পোকা ভিতরে পরা মাত্রই ঢাকনা বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়া ওই তরল পদার্থে বিশেষ এসিড ও অ্যানজাইম থাকায় কোন প্রাণী পড়া মাত্রই তা নিস্তেজ হয়ে যায়। এরপর গাছটির ভিতরে ঢুকা প্রাণীটিকে সহজেই খাবারের উপযোগী করে তোলে ওই মাংসাশী গাছ।
উল্লেখ্য, সকল কীটপতঙ্গই এই গাছের শিকার। তবে নানা প্রাণীর মধ্যে ইঁদুরই এই মাংসাশী গাছটির কবলে বেশি পড়ে। আবার ইঁদুরই হচ্ছে এই গাছের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। গাছটি বিজ্ঞানীসহ সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।

২০০০ সালের দিকে এই গাছটির প্রথম সন্ধান মিললেও সম্প্রতি গাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ফিলিপাইনের পালাওয়ানের নির্জন পাহাড়ী এলাকায় এই গাছের দেখা মিলেছে বলেও জানা যায়।

 

 

RELATED ARTICLES

আজকের দিনের জনপ্রিয়