সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম সালমান খান। কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জন করেন জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেতা। তবে এই বিপুল অঙ্কের আয়ের সামান্যই নিজের পেছনে খরচ করেন তিনি। মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ নিজের জন্য রেখে বাকিটা বিলিয়ে দেন দাতব্যকাজে। কাঁড়ি কাড়ি টাকার মালিক হলেও কিন্তু চেক বইয়ে স্বাক্ষর করতে পছন্দ করেন না সালমান খান।
মজার বিষয় হলো, সালমান নিজেই জানেন না তার কাছে কী পরিমাণ টাকা-পয়সা আছে। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় পেশার সঙ্গে জড়িত থাকলেও নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মাত্র পাঁচ মাস আগে।
সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বাবা সেলিম খানের কাছ থেকেই দাতব্যকাজের মতো মহৎ গুণটি পেয়েছেন সালমান। সত্যিকার অর্থে যারা অভাবী তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পছন্দ করেন দাবাং খান। বাবার পরামর্শ ও উত্সাহে অসহায় মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি।
সালমান পেশাগত কাজ শুরুর পর থেকেই দাতব্যকাজের জন্য দিক-নির্দেশনা পেয়েছেন তার বাবার কাছ থেকে। শুরু থেকেই সালমান যে আয় করতেন তার ১০ শতাংশ খরচ করতে দিতেন বাবা সেলিম খান।
সালমান তার ইচ্ছেমতো তা খরচ করতেন। বাকি ৯০ শতাংশ আয় দাতব্যকাজে ব্যয় করতেন। বর্তমানে আয়ের সিংহভাগই খরচ করেন তার বিয়িং হিউম্যান দাতব্য সংস্থার পেছনে।
সালমানের বোন আলভিরা জানিয়েছেন, টাকা-পয়সার ব্যাপারে খুবই উদাসীন সালমান। আর্থিক লেনদেন থেকে সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। জীবনের ৪৮টি বছর পার করলেও এতদিন পর্যন্ত নিজের নামে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না তার। কখনোই চেক বইয়ে স্বাক্ষর করেননি খান সাহেব।
অবশেষে পাঁচ মাস আগে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেন সালমান। শুরুর দিকে চেক বইয়ে সই দিতে ব্যাপক উত্সাহ থাকলেও ইদানীং তা আর নেই। চেক বইয়ে স্বাক্ষর দিতে দিতে রীতিমতো বিরক্তবোধ করেন। এ জন্য তার পক্ষে চেক বইয়ে সই দেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের পটানোর চেষ্টা করেন তিনি।