একের পর এক বিয়ে। সব মিলিয়ে ৬২ বার বিয়ে করেছেন। আর এভাবেই প্রতারণা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। ভারতের বিহারের বৈশালী জেলায় বালিগাঁও থানার পুলিশ এমন এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এখানেই শেষ নয়, নিজেকে রেলওয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বেশ কিছু যুবতীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারীদের বিয়ে করে সে তাদের পর্ন ভিডিও বানিয়ে বাজারে বিক্রি করত। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই যুবকের কাজের এলাকা ছিল সমস্তিপুর। এই যুবক সমস্তিপুর-সহরসা লাইনে টিটির ইউনিফর্ম পরে ট্রেনে চড়ে সে নারীদের মনে বিশ্বাস তৈরি করে তাদের বিয়ে করত। বালিগাঁও থানার ওসি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই বাহারুদ্দীন কাবা গ্রামে এক কিশোরী হঠাৎ উধাও হয়ে যায়।
এই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবকের নাম জানতে পারে। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে তার থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও আটটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবক পূর্ব চম্পারণ জেলার মেহসি থানা এলাকার বাসিন্দা। এই আসল নাম মোহম্মদ সিজাম, যদিও বিভিন্ন এলাকায় নিজের অন্য নাম বলে বেড়াত এই যুবক। ওই যুবকে গ্রেপ্তার করার পর প্রায় দুই ডজন নারী থানায় এসে তাকে নিজের স্বামী বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, একের পর এক বিয়ে করে পর্ন ভিডিও তৈরি করাই ছিল তার কাজ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের কাছ থেকে ব্লু ফিল্মের সিডি উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে ওই যুবক খগরিয়া, সমস্তিপুর, পূর্ব চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ ছাড়াও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬২ জন নারীকে বিয়ে করেছে। সুত্র অনুযায়ী নারীদের ফাঁসিয়ে বিয়ে করে সে সহবাসের ভিডিও তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতো। পুলিশ ওই মামলার তদন্তে নেমেছে।