৩০ মিনিটের অনুশীলনেই আপনার মস্তিষ্ককে করে তুলুন কর্মপযোগী। আমরা যা নিয়ে কথা বলছি তা হল মেডিটেশন। চাপমুক্ত থাকার জন্য মেডিটেশন যে খুবই ভাল কাজ করে তা মনে হয় মোটামুটি আপনাদের সকলেরই জানা আছে। কিন্তু সনাতন এই পদ্ধতিটি কীভাবে কাজ করে তা আমরা খুব কম লোকই জানি। এক সমীক্ষার প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, মেডিটেশন আপনার মস্তিষ্ককে খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে। যা আপনার পড়াশুনা, স্মৃতি ও আবেগঘটিত যেকোন ব্যাপারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
গ্রে ম্যাটার বৃদ্ধি:
ছোট এক পরীক্ষায়, ম্যাগনেটিক রিজনেন্স ইমেজিং (এমআরআই) মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে ইওগা, মেডিটেশনের আগে ও পরে একদল অংশগ্রহণকারীদের মস্তিস্কের স্ক্যানের তথ্য নেওয়া হয়। দেখা যায় যে, যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তাদের তুলনায় যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের হিপক্যাম্পাস, সেরিবেলাম ও মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে গ্রে ম্যাটার এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সনাতন বুদ্ধদের ক্ষেত্রে দেখা যেত যে, মন ও দেহকে একসঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে তারা ধ্যান করত। এক্ষেত্রে কোনভাবে অতীত বা ভবিষ্যতের কোন দুঃচিন্তা বা খারাপ কোন স্মৃতির কথা স্মরণ করা যাবে না। মেডিটেশনকারীদের মতে, জীবনের অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ যেমন- ঘুমানো, খাওয়া, বাজার করা ইত্যাদির মত করে যদি ধ্যান অর্থাৎ মেডিটেশন করা যায় তাহলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যাবে। তাই এখন থেকে দিনের নির্দিস্ট কোন একটা সময়ে করেই ফেলুন না মেডিটেশন। আর মুক্ত থাকুন যাবতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃচিন্তা থেকে।