ডাবের পানি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর রয়েছে নানা উপকার৷ ছবিঘরে থাকছে সে কথা৷
ওজন কমায়
ডাবের পানি খাওয়ার অনেকক্ষণ পরও মনে হবে যে আপনার ক্ষুধা লাগছে না৷ তাই আপনার খাওয়া কম হবে৷ এছাড়া ডাবের পানিতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম৷ ফলে যাঁরা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগ্রহী তাঁদের জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী৷
ত্বক সুন্দর করে
ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন ইত্যাদি তৈরিতে নারকেলের পানির ব্যবহার থেকেই বোঝা যায় ত্বক সুন্দর করতে বা রাখতে এটা কতখানি কার্যকরী৷ ব্রণ, মেছতা বা ত্বকের অন্য কোনো দাগ দূর করে মুখ উজ্জ্বল করতে এটি সাহায্য করে৷
পুষ্টিতে ভরপুর
ডাবের পানিতে আছে শরীরের জন্য উপকারী পাঁচটি রাসায়নিক উপাদান – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম৷
হজমে সাহায্য করে
আপনার যদি হজমে সমস্যা থাকে তাহলে ডাবের পানি খেয়ে দেখতে পারেন৷ উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ার কারণে এটি বদহজম প্রতিহত করে৷
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
কোনো কারণে রক্তচাপ বেড়ে গেলে সেটা কমাতে সহায়তা করে ডাবের পানি৷ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে৷
এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে ভাল
কঠোর অনুশীলন কিংবা পরিশ্রমের কারণে শরীর থেকে খনিজ-সমৃদ্ধ তরল বেরিয়ে যায়৷ সেটা পূরণে আমরা অনেকেই এনার্জি ড্রিংক পান করে থাকি৷ কিন্তু তা না করে এক গ্লাস নারকেল পানি খাওয়া বেশি ভালো৷ কারণ এতে বাজারে পাওয়া যাওয়া এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ও চিনি রয়েছে৷
রক্তের প্লাজমার বিকল্প
জরুরি প্রয়োজনে রক্তের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি শরীরে প্রবেশ করানো যেতে পারে৷ কেননা রক্তের প্লাজমার গুণাগুণের সঙ্গে এর মিল রয়েছে৷ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে আইভি ফ্লুইডের অভাবে অসুস্থ এক রোগীর শরীরে ডাবের পানি প্রবেশ করিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছিল৷