অনেকেরই ধারণা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে খরচটা হয়ে যাবে অনেক বেশি। একদিকে জিমে দৌড়াতে হবে, আরেকদিকে গুচ্ছের টাকা খরচ করে ভালো ভালো খেতে হবে। আসলে কিন্তু কম খরচেই বেশ স্বাস্থ্যকর একটা খাদ্যভ্যাস গড়ে তোলা যায়। প্রয়োজন হলো একটু বুদ্ধি খাটানো আর ছোট্ট কিছু কৌশল মেনে চলা।
১) ফল ও সবজি
সবজি দিয়ে তৈরি করতে পারেন অসাধারণ স্বাদের তরকারি অথবা স্টার-ফ্রাই যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর টাটকা সবজি দিয়ে তৈরি সালাদের উপকারিতার কথা তো বলাই বাহুল্য। বিভিন্ন মৌসুমি কমদামি সবজি আপনার খরচও কমাবে, স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে। অনেক মৌসুমি ফলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
২) শস্যদানা
ময়দা বা সিরিয়ালের চাইতে হোল গ্রেইন অনেকটাই খরচ কমায়। এদের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অসাধারণ। বেশি করে কিনে রাখতে পারেন চাল, গম, জব ইত্যাদি। ব্লেন্ডারে তৈরি করে নিতে নিতে পারেন ছাতু। একইভাবে কিনে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরণের ডাল। তা সুস্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হয়ে দাঁড়াবে।
৩) মুরগির মাংস এবং ডিম
প্রাণীজ প্রোটিনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মুরগির মাংস এবং ডিম। চিকেন ফ্রাই এর মতো ফাস্টফুডের দামটা বেশি হলেও আস্ত মুরগি কিনে বাসায় রান্না করে খাবার খরচটা কম। এমনকি গরু, খাসি অথবা চিংড়ির চাইতে মুরগীর দামটা বেশ কম। আর ডিম তো এক্ষেত্রে আরও বেশি উপকারী। ঝটপট স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করতে ডিমের জুড়ি নেই।
৪) দুগ্ধজাত খাদ্য
খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন দুগ্ধজাত পণ্য যেমন মাখন বা ঘি। এগুলোর দাম একটু বেশি বটে কিন্তু খাবারের স্বাদ বাড়াতে অন্য কোনো উপাদান ব্যবহার করতে হবে না, তাই দিনের শেষে খরচটা আসলে কমই হবে। আরও ব্যবহার করতে পারেন টক বা মিষ্টি দই।
৫) বাদ দিতে হবে প্রক্রিয়াজাত পানীয়
আমাদের অর্থ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই অনর্থক নষ্ট হচ্ছে কোমল পানীয় বা প্যাকেটজাত ফ্রুট জুসের পেছনে। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শুধুই বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন, আর কিছু না। আর যদি একটু অন্যরকম কিছু পান করতে ইচ্ছেই করে, তাহলেও ঝাঁঝালো পানীয়ের পেছনে টাকা খরচ করার দরকার নেই। দুই ভাগ পানির মাঝে এক ভাগ পছন্দের ফলের কুচি মিশিয়ে পান করুন।