শরীর সুস্থ রাখতে হলে সঠিক ওজন থাকা অত্যন্ত জরুরী। কম বা বাড়তি ওজন দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দেহের উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন থাকলে নানা ধরণের রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় যা ওজন কম বা বেশির কারণে হয় না। কারণ কম বা বাড়তি ওজনের কারণে দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় পড়ে।
কম ওজন থাকলে বিভিন্ন উপায়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু ওজন বেশি হলে তা কমানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া আরও কিছু অদ্ভুত কারণে প্রতিদিনই আমাদের দেহের ওজন বাড়ছে এবং এগুলো সম্পর্কে আমরা কেউই অবগত নই। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সেই অদ্ভুত এবং অজানা কারণগুলো যা আমাদের ওজন বাড়াচ্ছে প্রতিদিন।
বিষণ্ণতা:
বিষণ্ণতা মানুষের ওজন বাড়ায় খুব দ্রুত। প্রথমত বিষণ্ণ থাকলে মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার একটু বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন। মন খারাপের সময় কতোটুকু খাওয়া হচ্ছে তার হিসাব রাখাটাও বেশ কঠিন।
দ্বিতীয়ত যাদের বিষণ্ণতার জন্য ঔষধ খেতে হয় তাদের ক্ষেত্রে ওজন বাড়াটা স্বাভাবিক। কারণ অ্যান্টি-ডিপ্রেশন পিল ওজন বাড়ায়। তাই বিষণ্ণতাকে নিজ উদ্যোগে জীবন থেকে বিদায় জানান। ওজন বাড়বে না।
আপনার হজমশক্তি দুর্বল:
অনেকের ডায়েট এবং ব্যায়াম করাও পরও ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে তার দুর্বল হজমশক্তি। হজমশক্তি দুর্বল থাকলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় এবং ধীরগতিতে খাবার হজম হয় অথবা বেশিরভাগ খাবার হজম হয় না। ধীরগতিতে খাবার হজম হওয়া এবং খাবার ভাল মতো হজম না হলে পুরোটাই দেহে মেদ হিসেবে জমা হয়। তাই হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ভুল ঔষধ খাওয়া:
অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই হুটহাট সামান্য ব্যথা বা জ্বরের জন্য ঔষধ খেয়ে ফেলেন। এই কাজটি অত্যন্ত ভুল একটি কাজ। এতে শরীরে ক্ষতি হয়। এবং এতে করে দেহের ওজনও খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বাজার থেকে যে কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল কিনে খান। এতে ওজন বাড়ে।
আবার অনেকে হরমোনের ব্যাল্যান্সের জন্য পিল খান, ব্যথা নাশক ঔষধ খান যার সব কটিতেই দেহের ক্ষতি হয় এবং ওজন বাড়ে। তাই ডাক্তারের পরামর্শে আপনার শরীরের অন্য উপযোগী ঔষধ খাবেন।
দেহে পরিমিত পুষ্টির অভাব:
খাবার খেলেই যে মানুষ মোটা হয় তা নয়। দেহে পুষ্টির অভাব হলেও মানুষ মোটা হওয়া শুরু করে। ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টির অভাবে শরীরে দুর্বলতা ভর করে। এতে মানুষ শারীরিক পরিশ্রম করতে পারে না এবং অল্পতেই হাঁপিয়ে যান। খাবার খেলে তা শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে তা ব্যয় হয়।
যাদের দেহের পুষ্টির অভাব তারা শারীরিক পরিশ্রম করতে না পারার কারণে খাবার দেহে মেদ হিসেবে জমা হয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নজর দিন। পুষ্টিহীনতা দূর করুন।