সোমালিয়ার এক ‘মৃত্যু বৃক্ষ’র কাহিনী

অনেক রকম গাছ আমরা দেখেছি। তবে এমন গাছের কথা আমরা কখনও শুনিনি। আজ এমনই এক ‘মৃত্যু বৃক্ষ’র কাহিনী রয়েছে আপনাদের জন্য।সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমালিয়ায় পাতাহীন এক ধরনের গাছের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই গাছে বছরের বারো মাসের মধ্যে কখনোই পাতা হয় না। এমনকি প্রচণ্ড বৃষ্টির মৌসুমেও এই গাছে একটি পাতাও দেখা যায় না। এই গাছগুলো যেখানে জন্মায় তার চারপাশে অন্য কোনো গাছও জন্মাতে পারে না!খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৭ ফুট উচ্চতা নিয়ে শুষ্ক মাটির বুকে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে এসব গাছগুলো। সোমালিয়ার যে অঞ্চলে এই গাছগুলো জন্মায়, সেই অঞ্চলটি মূলত শুষ্ক পরিবেশ আর পাথুরে ভূমির জন্য বিখ্যাত। প্রাকৃতিক এই বৈরি অবস্থা ও পাতাহীন বৃক্ষের এই অঞ্চল হতে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ পালিয়ে যায় অন্য কোনো অঞ্চলে।প্রতিটি সোমালীয় এই গাছ সম্পর্কে বিস্তর জানে। স্থানীয়রা এই গাছটির নাম দিয়েছে ‘মৃত্যু বৃক্ষ’। শুধুমাত্র গাছটিকে নামাঙ্কিত করেই ক্ষান্ত দেয়নি নীরিহ সোমালীরা, গাছটিকে দেশটির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গাছ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে তারা।জানা গেছে, পাতাহীন এই গাছ মূলত সোমালিয়ার পুন্তল্যান্ড অঞ্চলের বোসাও শহরে জন্মায়। সোমালিয়ার এই প্রান্তে যদি কাওকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাহলে প্রথমেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ওই গাছের সঙ্গে বাধা হয়। অভিযুক্তের হাত গাছটির পেছনে বেধে তারপর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এমন অনেক কাহিনী রয়েছে সোমালিয়ার এই ‘মৃত্যু বৃক্ষ’ নিয়ে। যা সকলকে বিস্মিত করে।

Exit mobile version