যে বয়সে বাবা-মা হারিয়েছেন বলিউড বাদশা

দিল্লির পাঠান মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ‘বলিউড বাদশাহ’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান। তার পিতা তাজ মোহম্মদ খান ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মা লতিফ ফাতিমা ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমাজসেবী।

লতিফ ফাতিমা ছিলেন জাঞ্জুয়া রাজপুত পরিবারের মেজর জেনারেল শাহ নেওয়াজ খানের কন্যা। শাহ নেওয়াজ খান ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বোসের অধীনে আজাদ হিন্দু ফৌজের অধিনায়ক।

মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়েছেন শাহরুখ। তার বাবা তাজ মোহাম্মদ খান মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কৈশোরে বাবাকে হারানোর ১০ বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে তাকে একা রেখে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান তার মা।

তখন তিনি মাত্র বলিউড পা রাখতে চলেছিলেন। দুই বছর ধরে তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম করছিলেন। মঞ্চ এবং টিভিতে টুকটাক অভিনয়ও করতেন।

মায়ের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা গৌরী খানকে বিয়ে করেন শাহরুখ। সুখের সংসার করছেন তারা। বলিউডের অন্যতম সুখী ও সফল দম্পতি শাহরুখ-গৌরীই। তিন সন্তান আরিয়ান, সুহানা ও আবরামকে নিয়ে সুখের সংসার তাদের।

১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক হয় শাহরুখের। ‘বাজিগর’ ও ‘ডর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। কিন্তু রূপালি পর্দায় শাহরুখের অভাবনীয় সাফল্য ও জনপ্রিয়তা দেখে যেতে পারেননি তার বাবা-মা।

তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাহরুখের জনপ্রিয়তা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এইতো গত বছর শাহরুখ অভিনীত ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি একাধিক রেকর্ড গড়েছে বলিউডের ছবির ইতিহাসে।

বর্তমানে ফারাহ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন শাহরুখ। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর।

সম্প্রতি শাহরুখ টুইটারে তার এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সময়ের অনেক আগেই বাবা-মাকে হারিয়েছি। কিন্তু আজও মা-বাবার অভাব প্রচণ্ডভাবে অনুভব করি।’

Exit mobile version