চেষ্টা আর পরিশ্রম ব্যতিত এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। আজকাল বলিউডের সেলিব্রেটিদের বিলাসবহুল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন দেখলেই আমাদের অনেকেরই ঢের ইচ্ছা জাগে, যেন তাদের মতোই জীবনটাকে বিলাসবহুল করতে। অবশ্য সিনেমা জগতে এসেই যে সবার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এমনটি নয়।
বলিউড সেলিব্রিটিদের জীবন যাপন একজন সাধারণ মানুষের জীবনের চেয়ে শত গুণ ভালো। কিন্তু এই শতগুন ভালো হওয়ার একটি অন্যতম বাস্তবতা কাজ করে। সেই বাস্তবতা হলো, বিখ্যাত তারকারা এমনি এমনি বিখ্যাত হয়নি। তারাও একসময় আর দশটা মানুষের মতই সাধারন মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের মতো ছিলো তাদের চালচলন ও জীবনব্যবস্থা। সেরা তারকারা যাদের অনেকেই মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউই আবার খুব গরীব পরিবারে জন্মেছেন। তারা কেউ কেউ ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, চেষ্টা, অধ্যাবসায় ও পরিশ্রম তাদের কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেছে। পাঠকগণ আপনারা নিচের তথ্যগুলো পড়লেই অবাক হবেন যে কিভাবে তারা নিজেদের মেধা আর শ্রম দিয়ে অসাধ্য সাধন করলোঃ
অমিতাভ বচ্চনঃ
বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চন, সেই নব্বই দশকে তার বলিউডে আগমন। বর্তমানে অন্যান্য তারকাদের চাইতে বেশ খ্যাত ও প্রভাবশালী তারকা তিনি।
রজনিকান্তঃ
বর্তমানে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তামিল সুপারস্টার রজনিকান্ত একসময় যিনি ছিলেন বাসের কন্ডাক্টর। দুটা পয়সা কামানোর জন্য তিনি মাঝে মধ্যে কুলিগিরিও করতেন।
শাহরুখ খানঃ
বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান, বর্তমানে মিডিয়া তাকে কিং খানেই নামেই বেশি চেনে। ধনী ও প্রভাবশালী তারকাদের সাথে তার নামটিও শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু এই ধনী তারকাই একদিন ৫০ টাকা বেতনে চাকরি করেছিলেন। বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে ছবির শ্যুটিং দেখতে যেতেন। পার্কের সিটগুলোতে পেপার বিছিয়ে ঘুমাতেন। তবে একান্ত ইচ্ছাই তার ভাগ্যকে বদলে দিতে সহায়তা করেছে।
অক্ষয় কুমারঃ
খিলাড়ি হিরো অক্ষয় কুমার বলিউডে যার ছবি মানেই অন্য কিছু। অ্যাকশন, কমেডি ও রোমান্টিক ঘরনার সকল ছবিতেই নিজেকে খুব ভালো ভাবেই নিজেকে মানিয়ে নেয় অক্ষয়। কিন্তু জেনে আশ্চর্য হবেন যে, অতীতে এই খ্যাতিমান তারকা বাংলাদেশের একটি হোটেলে সাধারণ শেফ হিসাবে কাজ করতেন। ১৫০০ হাজার টাকার বেতন পাওয়া এই খ্যাতিমান তারকা রান্নাঘরের মেঝেতে ঘুমাতেন।
মেহমুদ আলিঃ
মেহমুদ আলী জনপ্রিয়তার কারণে অনেকেই তাকে মেহমুদ নামেই চিনেন। খ্যাতি অর্জন করার আগে পূর্বে তিনি খুবই দুস্থ জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। পোলট্রি বিক্রেতা ও ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।
রাকেশ ওঁমপ্রকাশ মেহরাঃ
সিনেমা জগতের একজন নামকরা নির্মাতা। বলিউডে প্রবেশের আগমুহূর্তে অনেক দারিদ্র্যতার মধ্য দিয়ে তার জীবন কেটেছে। শ্যুটিং সেটে তিনি চা দেওয়ার কাজ করতেন, তাছাড়া সেখানকার পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে নিয়োগ নিয়েছিলেন।
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিঃ
অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরুর আগে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী কেমিস্ট ও পিয়ন হিসাবে কাজ করতেন।
বোমান ইরানিঃ
বোমান ইরানি ছোট কাল থেকেই জীবিকার জন্য তার মায়ের সাথে তাদের একটি রুটির দোকানে কাজে সহায়তা করতেন। তাছাড়া মুম্বাইয়ের তাজমহল হোটেলের শেফ ও কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু পরিশ্রম ও সৃজনশীলতার জোরে বোমান ইরানি আজ আলোচিত অভিনেতা।
রাখি সাওয়ান্তঃ
ছোটকাল থেকেই অনেক দারিদ্রতার কষাঘাতের মধ্য দিয়ে জীবন পার করেছিলেন আইটেম নাম্বার রাখি সাওয়ান্ত। সরাইখানায় খাবার দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন রাখি। এছাড়া বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে কাজ করে রোজগার করতেন। পরবর্তীতে বার নাচিয়ে হিসেবে কাজ করতে করতে এক সময় বলিউডে প্রবেশ করেন এই আইটেম গার্ল।