ইসলাম কেন মুসলিম পুরুষ ভাইদের চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমতি প্রদান করেছে? এমনই এক প্রশ্নের উত্তর যৌক্তিক ব্যাখা দিয়েছেন ড. জাকির নায়েক। পিসটিভি বাংলায় ‘ডিয়ার টু আসক’ আলোচনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন।
কোরআনের আয়াতকে প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করেন ড. জাকির বলেন, ‘আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।’ সুরা নিসা-৩।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে চারটি পর্যন্ত বিয়ের অনুমোদন এ আয়াতটি দ্বারা প্রমাণিত হয়। তবে আয়াতে এও বলা হয়েছে একাধিক স্ত্রীর সমান অধিকার না আদায় করতে পারলে একটা বিয়েই করা যাবে। পৃথিবীর সকল ধর্মই পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে। কোনো ধর্মই একটি বিয়েতে সীমাবদ্ধ রাখেনি। তবে ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে, ইসলাম সকলের অধিকার আদায় করতে পারলে একাধিক বিয়ে করা যাবে আর না পারলে একটিই। হিন্দু ধর্মের রামায়ণ ও মহাভারত একাধিক বিয়ে করেছেন। মহাভারতের ১০৮ জন স্ত্রী ছিলো।
তিনি বলেন, ইসলামে পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ের অনুমতি প্রদানে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারীজাতির জন্ম হার বেশি। মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যায়, ছেলেদের তুলনায় মেয়ের শরীর রোগ প্রতিরোধের বেশি কার্যকর। তাদের মৃত্যু হারও কম। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে, যুদ্ধক্ষেত্রে, মদপান করে ও নানা দুর্ঘটনায় নারীর তুলানায় পুরুষের মৃত্যু বেশি হয়। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণেই ইসলামে পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ের অনুমতি দিয়েছে।
ড. জাকির নায়েক বলেন, ধর্ম নয়, মানুষই শুধু একটি বিয়ের আইন করেছে। ইন্ডিয়ার প্যানেল কোড একটি বিয়ের আইন করেছে।