চুল উঠে গিয়ে টাক পড়ার সমস্যা রয়েছে আমাদের মধ্যে অনেকেরই। আর টাক হলে তখন এর চিকিৎসা নিয়েও পড়তে হয় নানা সমস্যায়। কিন্তু এই টাক থেকে রেহায় পাওয়ার সহজ একটি চিকিৎসা হলো দুর্বা ঘাস।
ভেষজ ওষুধ হিসেবে দুর্বা ঘাসের চ্যালেঞ্জ সুদূর প্রসারি। যেমন; টাক পড়ার কথা ধরা যাক। ঠিক কি কারণে মাথায় টাক পড়ে তা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় এখনও নির্ণয় করা যায়নি। কিন্তু ভেষজ শান্ত্র বলেছে, দুর্বা ঘাসের রস দিয়ে তেল মিশিয়ে পাক তৈরি করে মাথায় মাখলে চুল ওঠা বন্ধ হয়। এছাড়াও আরও বহুবিধ উপকার রয়েছে এই দুর্বা ঘাসে। আসুন আরও কি কি উপকার পাওয়া যায় এই দুর্বা ঘাসে জেনে নেওয়া যাক।
- শরীরের কোন স্থানে কেটে রক্ত পড়তে শুরু করলে দুর্বা ঘাস পিষে সেই স্থানে লাগাতে হয়।
- রক্তপিত্তে দুর্বা ঘাস এক মহৌষধ।
- এই রোগে মুখ, নাক ছাড়াও শরীরে বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। আয়ুর্বেদের মতে এই ক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রসের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে নিশ্চিত
- শ্বেত প্রদরজনিত দুর্বলতায় দুর্বা ঘাস ও কাঁচা হলুদের রস সম পরিমাণ মিশিয়ে দুধের সঙ্গে খেলে রোগ সহজে সেরে যায়। শরীরে বাত থাকলেও এটি খাওয়া যাবে।
- ভেষজ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, দুর্বা ঘাস সন্তান ধারণে ব্যর্থ দম্পতিদের জন্যও একটি উপকারি ওষুধ। গর্ভধারণে অসমর্থ হলে দুর্বা ঘাস ও আতপ চাল একসঙ্গে বেটে
- বড়া বা ফ্লোরি বানিয়ে সপ্তাহে ৩/৪ দিন খেতে হয়। ভাত খাওয়ার সময় এটি খেতে হয়।
- দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় দূর করতে দুর্বা ঘাসের জুড়ি নেই।
- প্রস্রাব হতে কষ্ট হয় এরকম ক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রসের সঙ্গে দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে যাদের পাইলস আছে তাদের এটি খাওয়া যাবে না।
- দুর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রেও স্বাভাবিকতা আনতে সাহায্য করে থাকে।