একটি গর্ভবতী অশ্ব ও তার ভ্রুণের জীবাশ্মটি বিজ্ঞানীদের জানা এ ধরনের প্রাচীনতম জীবাশ্ম।
এই জীবাশ্মটিতে অস্বাভাবিকভাবে জরায়ু বা গর্ভথলির টিস্যুর সুরক্ষিত প্রমাণ রয়েছে। গবেষকরা বুধবার এ কথা জানান।
এই ফসিলটি ২০০০ সালে জার্মানিতে আবিষ্কৃত হয়। তবে একটির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে কেবল এখন এবং তা পিএলওএস ওয়ান জানালে প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রাণীটি আধুনিক ঘোড়ার আদি আত্মীয়। এটি পূর্ণ বয়স্ক অবস্থায় ছোট কুকুরের সমান আকারে বড় হতো।
জীবাশ্ম ভ্রুণটি প্রায় পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এবং করোটি ছাড়া এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মা ঘোড়াটি বাচ্চা দেয়ার অল্প দিন আগে মারা যায়। তবে এ মৃত্যু গর্ভজনিত কারণে হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা জীবাশ্মটিতে ইউটেরাস প্লাসেন্টা ও ইউটেরাইন লিগামেন্টের মতো সুরক্ষিত টিস্যু পেয়েছেন, যা সম্ভবত প্লাসেন্টাযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মূত্রযন্ত্রের প্রাচীনতম জীবাশ্ম রেকর্ড।
প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয়, ঘোড়ার প্রজননতন্ত্র কয়েক কোটি বছরেও তেমন পরিবর্তিত হয়নি।