সারা বিশ্বেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে যাতে আরও ভালোভাবে বাঁচা যায়।স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যাওয়া এখনকার দিনে এক জ্বলন্ত সমস্যা।
কেউই চান না নিজেকে মোটা দেখতে আর সেজন্য রোগা হতে চেষ্টার কসুর করেন না। তবে শুধু না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে হাত-পা রোগা হলেও পেট ফুলে থাকে। এর কারণ আর কিছুই না পেটে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া। জেনে নিন পেটে জমে থাকা চর্বি থেকে ভুঁড়ি হওয়ার প্রধান কারণগুলি।
অলসতা নানা কাজকর্মে ঘাম না ঝরিয়ে অলসভাবে জীবন কাটালে পেটে চর্বি জমবে স্বাভাবিকভাবেই। ফলে অলসতা ছেড়ে শরীরচর্চায় মন দিন।
বেশি রাতে খাওয়া রাতের খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। খেয়েই ঘুমাতে চলে যাওয়া মানে হজম ভালোভাবে হয় না। একইসঙ্গে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে।
অত্যধিক খাওয়া আপনি কি খেতে খুব ভালোবাসেন। প্রচুর খান? পরিমিত খাওয়া অভ্যাস করুন কারণ অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কঠিন রোগের দিকে ঠেলে দেবে আপনাকে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস যখন শরীর বুঝতে পারে না পরে কখন আপনি খাবার খাবেন, সেজন্য নিজে থেকেই ফ্যাট জমাতে শুরু করে পেটে। আর সেজন্যই নিয়মিতভাবে সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খেলে চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে যায়।
কম ঘুম হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর কম ঘুম হলে শরীরে কর্টিসল বাড়তে থাকে, চিনি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে থাকে। এবং যার নিট ফল, পেটে চর্বি জমা।
কার্বন সমৃদ্ধ পানীয় কার্বন সমৃদ্ধ পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই ধরনের পানীয় খিদে বাড়িয়ে দেয় ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন আপনি।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস প্রসেসড প্যাকেটজাত খাবার খেলে শরীর খারাপ তো হয়ই, তেমনই পেটে চর্বি জমতে শুরু করে খুব তাড়াতাড়ি।
মেনোপজ মেয়েদের শরীরে হরমোন ঘটিত নানা পরিবর্তনের ফলে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এক্ষেত্রে পেটে চর্বি জমে সবচেয়ে বেশি।
বংশানুক্রমিক যদি পরিবারের লোকেদের ভুঁড়ি থাকে, তাহলে বংশানুক্রমে আপনারও সেই সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে খাবার ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচেতনতা দেখাতে হবে আপনাকে।