এই সময়ের বলিউড অভিনেতাদের অন্যতম একজন বোমান ইরানি। যে চরিত্রটিতে তিনি অভিনয় করেন, সেটাই তার নিজস্ব হয়ে যায়। মনে হয় এই চরিত্রে বোমান ইরানির চেয়ে আর কেউ ভালো করতে পারতো না। মুন্না ভাই এমবিবিএস, ম্যায় হু না, থ্রি ইডিয়টস, পিকে যেখানেই তিনি অভিনয় করেছেন সেখানেই নিজের সামর্থ জানান দিয়েছেন। অথচ অভিনয়ে আসার আগে অখ্যাত এক হোটেলের ‘ ওয়েটার’ ছিলেন তিনি। আজ ২ ডিসেম্বর এই গুণী অভিনেতার ৫৬তম জন্মদিন।
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি বোমান ইরানি, খুব সুখেরও ছিল না তার অতীত জীবন। নানা প্রতিকূল পরিবেশে তিনি বেড়ে উঠেন। শিক্ষা জীবন শেষ করেও দীর্ঘদিন ভালো কিছু করতে না পারার বেদনা তাকেও লাখো বেকারের মত ভুগিয়েছে। শেষ পর্যন্ত একটি অখ্যাত হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করে জীবন নির্বাহ করতেন বোমান ইরানি। বেশকিছুদিন হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করার পর তিনি চলে যান মায়ের সাথে। সেখানে তিনি মায়ের বেকারিতে কাজ করেন।
তবে পর্দায় তার অভিনয়ে যাত্রাটা ২০০০ সালে। এরআগে তার অভিনয়ে এতটা আকর্ষণ ছিল না। আশির দশকের প্রথম দিকে যদিও থিয়েটারে কাজ করেন, সেটায় ছিল তার অভিনয়ের হাতেখড়ি। বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন বোমান। তিনি শুরুতে কোমল পানীয় ও বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। তারপর ক্যামিও ও অপ্রাধানকিছু চরিত্রে সিনেমায় প্রথমবার কাজ করেন ইরানি। ২০০৩ সালে রাজকুমার হিরানির অন্যতম বলিউড সাফল্য ছবি ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন বোমান। এরপর একেএকে অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন তিনি। এমনকি বলিউডে সঞ্জয় দত্ত, আমির খান, শাহরুখ খানের মত প্রথম শ্রেনির অভিনেতারা তার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। শুধু কমেডি নয়, সব ধরণের চরিত্রে তিনি অভিনয় সক্ষমতার প্রমান দিয়েছেন।
ডরনা মানা হ্যায় ছবিতে ছোট্ট একটি ভুমিকায় কাজ করে তিনি বেশ প্রশংসিত হন। মুন্নাভাই এম.বি.বি.এস. ছবিতে তিনি ড: আস্তানার ভুমিকায় কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এবং ২০০৪সালে তিনি ফিল্মফেয়ার বেস্ট কমেডিয়ান পুরুস্কারের জন্য মনোনিত হন। তার সবচেয়ে সাফল্যজন চরিত্র থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ভাইরাস।
ব্যক্তি জীবনে ভুমান ১৯৮৫ সালে জেনোবিয়া ইরানিকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে।