পোশাক মানুষের সভ্যতার প্রথম নিদর্শন। পৃথিবীতে এসেই সর্বপ্রথম মানুষ তার লজ্জা নিবারণের ভূষণ সন্ধান করেছে। তারপর দিন যত গেছে, পোশাকের রকম-ধরনে নানা পরিবর্তন এসেছে। ঐশী প্রত্যাদেশের মাধ্যমে নবি-রাসুলগণ মানুষকে তার বেশ-ভূষার নিয়ম-কানুন বাতলে দিয়েছেন।
পোশাক মানুষের সভ্যতার প্রথম নিদর্শন। পৃথিবীতে এসেই সর্বপ্রথম মানুষ তার লজ্জা নিবারণের ভূষণ সন্ধান করেছে। তারপর দিন যত গেছে, পোশাকের রকম-ধরনে নানা পরিবর্তন এসেছে। ঐশী প্রত্যাদেশের মাধ্যমে নবি-রাসুলগণ মানুষকে তার বেশ-ভূষার নিয়ম-কানুন বাতলে দিয়েছেন।
আমাদের ধর্ম ইসলামে পোশাক পরা মানুষের জন্যে ততটুকু ফরজ, যতটুকুতে তার সতর ঢেকে যায়। পুরুষের সতর হলো, নাভির উপর থেকে নিয়ে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত। তবে সুন্নাত হলো, এমন পোশাক পরিধান করা, যাতে তার সমস্ত দেহ আবৃত হয়ে যায়। মাথায় টুপি পরাও পোশাকের একটি অংশ বিশেষ এবং এটাও ইসলামে সুন্নাত আখ্যায়িত।
তবে মুসলিম পোশাক রীতিতে পুরুষের জন্যে ৬ ধরনের পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।-
১. পুরুষের পোশাক রেশমের তৈরি হতে পারবে না। রেশমি পোশাক পরা পুরুশের জন্যে হারাম।
২. সতর খুলে যায়, অর্থাৎ নাভির উপর থেকে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত কোনো অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এমন পোশাক পরা নিষিদ্ধ।
৩. পুরুষের পোশাক যেনো নারীদের মতো না হয়। অথবা এভাবেও বলা যায় যে, নারীর পোশাক পুরুষের জন্যে পরা নিষেধ।
৪. পোশাক যেনো এমন না হয়, যা পরলে তার মধ্য থেকে অহঙ্কার প্রকাশ পায়। এই রীতি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যে প্রযোজ্য।
৫. পুরুষের পোশাক পায়ের গোড়ালির নীচে যেনো ঝুলে না যায়। টাখনুর নীচে নেমে যায় এত লম্বা পোশাক পরা হারাম।
৬. ইচ্ছাকৃতভাবে কাফের-মুশরিকদের সাদৃশ্য অবলম্বন করার উদ্দেশ্যে তাদের পোশাক পরিধান করা হারাম। [হাশিয়ায়ে শামায়েলে তিরমিজি-২৯]
প্রত্যেক পুরুষের জন্য যে ৬ ধরনের পোশাক পরা হারাম
RELATED ARTICLES