কেনিয়ার দুই পুরুষ একই মহিলাকে তাদের স্ত্রী হিসেবে ভাগাভাগি করে নিতে সম্মত হয়েছেন। এ বিয়ে সংক্রান্ত সংঘাত এড়ানোর জন্য তারা একটি চুক্তিতে সইও করেছেন।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, ভাগাভাগির এই দুই পুরুষ মহিলার সাথে একই বাড়িতে থাকতে পারবেন এবং সন্তানকে নিজেদের সন্তান মনে করে তারা লালন-পালন করবেন।
ঘটনাটি সূত্রপাত ঘটে দীর্ঘদিন ওই মহিলাটিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে। ভালোবাসার একপর্যায়ে তারা পারেন, তারা দুজন একই মহিলাকে দীর্ঘদিন ধরে ভালোবেসে আসছেন এবং কেউই ওই মহিলাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। তাই মহিলাটিকে স্ত্রী হিসেবে ভাগাভাগি করে নিতে সম্মত হয়েছেন তারা।
এ সম্মতি একটি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তিটি
যখন সম্পাদিত তখন উভয় পক্ষের লোকেরা অনুধাবন করতে পারেন, তারা দু’জনেই ওই মহিলাকে ভালোবাসেন এবং মহিলাটিকে ছাড়া তারা থাকতে পারবেন না।
চার বছরেরও অধিক সময় ধরে মহিলাটি একই সাথে দু’কেনিয়ান পুরুষের সাথে প্রেম করেন। এরপর বিয়ের জন্য দু’জন মহিলার বাবা-মা’র কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান। এসময় তারা কন্যাদানের বিনিময় অর্থ পরিশোধ করেন।
বিয়ের জন্য দু’জনের একজনকে বেছে নিতে বলা হলে মহিলাটি অপারগতার কথা জানান।
তিনি জানান, তাদের দু’জনের একজনকেও হারাতে চান না এবং দু’জনকেই তিনি সমানভাবে ভালোবাসেন। উপায়ান্ত না পেয়ে দু’জনই বিয়ে চুক্তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন।
এক মহিলার সাথে দু’পুরুষের বিয়ে হতে পারে না। তাই দুজনের মধ্য থেকে একজন মহিলাকে বিয়ে করেন এবং চুক্তি মোতাবেক অপরজন স্ত্রীকে ভাগাভাগি করে নিতে সম্মত হন। তারা দুজনই মহিলার বাসায় থাকতে পারবেন। সন্তান লালন পালনেও দুজনেই সহযোগিতা করবেন।
মহিলাটি বিধবা এবং তার দুটি যমজ সন্তান রয়েছে। ভাগাভাগির দুজনের মধ্যে একজন কেনিয়ার সিলভেস্টার মেইনদা এবং অপরজন হলেন এলাইজা কিমানজি।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার বেশকিছু দেশে স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে বহু স্বামিত্ব গ্রহণের প্রথা এখনও প্রচলিত রয়েছে। কেনিয়ার আইনে এ সংক্রান্ত বিয়ের ব্যাপারে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।