কলা খেতে অনেকেরই ভালো লাগে। চমৎকার পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই ফলটিতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। রয়েছে তিনটি প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সুগার : গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ। দেহের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা রোধে ওষুধের থেকে কলা অনেক কার্যকর। বছরের সব সময়ই বাজারে পাওয়া যায় এই ফল।
তবে কলা খেলেও খোসা সব সময়ই ফেলে দিই আমরা। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এর মধ্যে রয়েছে ওষুধি অনেক গুণ। কলার খোসার গুণাগুণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম। গুণগুলো জানলে হয়তো কলার খোসা ফেলে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাববেন আপনি।
আঁচিল দূর করতে
আঁচিল বা জড়ুল থেকে মুক্তি পেতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এক পিস কলার খোসা আঁচিলের ওপর ব্যান্ডেজের মতো করে বাঁধুন। সারা রাত রেখে দিন। এভাবে কয়েক দিন করলে আঁচিল দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের চিকিৎসায়
খোসার ভেতরের অংশ ব্রণ ও বলিরেখা দূর করতে উপকারী। এটি ত্বককে পরিপূর্ণ পুষ্টি দিতে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় খোসা দিয়ে আধা ঘণ্টা ঘষতে পারেন, উপকার পাবেন।
সাদা দাঁত
দাঁত সাদা করতে কলার খোসা বেশ উপকারী। নিয়মিত কলার খোসার ভেতরের অংশটি দাঁতে ঘষলে দাঁত হবে আরো সাদা। বিশেষজ্ঞরা জানান, কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারে আপনি এর ফলাফল পাবেন।
সোরিয়াসিস রোগে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সোরিয়াসিসের মতো কঠিন ত্বকের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকে এটি ব্যবহার করার ১০ মিনিটের মধ্যে সোরিয়াসিসের লক্ষণগুলো চলে যাবে।
ব্যথানাশক হিসেবে
ত্বকে কি কোনো বিরক্তি বোধ বা ব্যথা বোধ করছেন? তাহলে কলার খোসা ঘষতে পারেন। এর ব্যবহারে ১০ মিনিটের মধ্যে আপনি ত্বকে ভালো পরিবর্তন দেখতে পাবেন। ব্যথা কমে যাবে।
পোকামাকড়ের কামড়ে
এ ছাড়া পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বক ফুলে গেলে বা ত্বকের জ্বালাপোড়া হলে এটি কমাতে কলার খোসা ঘষলে উপকার পাবেন।