ওজন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই, অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেও যেন কমাতে পারছেন না অতিরিক্ত ওজন। ওজন কমাতে কোনো চেষ্টারই কমতি করেন না বাড়তি ওজনের মানুষেরা। অপারেশন থেকে শুরু করে ওজন কমানোর চা, বিভিন্ন ক্ষতিকর ওষুধ সব চেষ্টার পরও ওজন কমে না অনেকেরই। এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাতেও ভুগছেন কেউ কেউ। আর সাথে বিষণ্ণতা তো আছেই।
এখন পর্যসন হচ্ছে- কীভাবে কমাবেন অতিরিক্ত এই ওজন?
যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আছে প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর কিছু সহজ সমাধান। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর ৬টি সহজ সমাধান সম্পর্কে।
ঘুমাতে যাওয়ার ৪ ঘন্টা আগে খান
যারা রাত জাগেন তাদের অনেকেরই গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে। আবার অনেকেই রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খেয়ে নিন। খেয়েই ঘুমাতে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে গেলে খাবার ঘুমানোর আগেই হজম হয়ে যায়। ফলে শরীর বাড়তি মেদ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়।
মশলা
প্র্তিদিনের রান্নায় আমরা নানান রকম মশলা খেয়ে থাকি। তার মধ্যে বেশ কিছু মশলা ওজন কমাতে সহায়ক। তার মধ্যে গোল মরিচ, আদা, দারচিনি ইত্যাদি মশলা ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। নিয়মিত খাবারে এদের ব্যবহার সাহায্য করবে ওজন কমাতে। সকালের জেলি রুটিতে ছিটিয়ে নিন একটু দারুচিনি গুঁড়ো, কিংবা মিশিয়ে নিন দুধের সাথে। ওজন কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে এটা বেশ কার্যকরী।
সবুজ চা
সবুজ চা বা গ্রিন টি ওজন কমাতে খুবই উপকারী। এর প্রতিটি দানায় রয়েছে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক পলিফেনল ও কোরোজেনিক এসিড। সবুজ যা মেটাবলিজম বাড়ায় যা কিনা শরীরের ওজন কমাবার প্রধান শর্ত। দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ সবুজ চা পান করে বছরে ১৫ পাউনড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এবং হ্যাঁ, ব্যায়াম ছাড়াই। কেবল আপনার প্রতিদিনের চা বা কফির বদলে পান করুন সবুজ চা! আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি সান দিয়েগোতে একটি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে যে গ্রিন টি ওজন কমায়। অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন এমন ১৬ জনকে ২২ সপ্তাহ ধরে সবুজ চা পান করানোর পর দেখা গিয়েছে যে তাদের ওজন গড়ে ৩.৮৫ কেজি কমে গিয়েছে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা
ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করলে শরীর অনেক বেশি কর্মক্ষম থাকে, ফলে শরীরে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় ও ওজন কমে। আর বাড়তি কিছু করতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতের সাহায্য ছাড়া উঠে বসার চেষ্টা করুন। এতে পেটে চাপ লাগবে এবং পেটের মেদ কমে আসবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষন হেঁটে এলে তো আরও ভালো।
প্রচুর পানি পান
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রচুর পানি পানে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত চর্বি জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। পানি পানে খাবার সহজে হজম হয়, ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমে না সহজে।
লেবু-মধু পানীয়
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানির সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এর কিছুক্ষণ পর সকালের নাশতা খেতে পারেন। লেবু-মধু পানীয় ওজন কমাতে অব্যর্থ পদ্ধতি। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও সম্ভব হলে কিছুটা ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে বেশ দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে প্রাকৃতিক ভাবেই।