যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো মানিক ও রতন’- এমন ঘটনা মাটির গভীরে! বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যিই এমন অমূল্য রতন পেয়ে চোখ কপালে প্রত্নতাত্ত্বিকদের। উদ্ধার হয়ে চলেছে একের পর এক স্প্রিং। তাও আবার সব সোনার।
ডেনমার্কে উদ্ধার হলো ২ হাজারটি সোনার স্পাইরাল। পরীক্ষায় জানা গেছে, স্পাইরালগুলো সবই ব্রোঞ্জ যুগের রাজপুরোহিতদের।
ডেনমার্কের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের কিউরেটর ফ্লেমিং কাউল জানাচ্ছেন, খুব পাতলা সোনার স্পাইরালগুলো ব্রোঞ্জ যুগে গয়না হিসেবে ব্যবহার হত। স্পাইরালগুলো তৈরি করা হয়েছিল ৯০০ থেকে ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে।
সেকালের রাজপুরোহিতদের পোশাকের অন্যতম অংশই ছিল সোনার স্পাইরাল। কাউলের কথায়, সম্ভবত টুপির সঙ্গে ঝোলানো থাকত সোনার স্পাইরালগুলো। অনেকে চুলেও বাঁধতো।
কয়েক বছর আগে ডেনমার্কের ওই অঞ্চল থেকেই মাটির নিচে উদ্ধার হয়েছিল কয়েকটি সোনার আংটি। কয়েক দশক আগে চাষিরা মাটির নিচে পেয়েছিলেন কয়েকটি ছোট মাপের সোনার নৌকা।
নৌকাগুলোর এক একটি ওজন ছিল ১ কিলো। এবার উদ্ধার হলো রাশি রাশি সোনার স্পাইরাল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, ওই অঞ্চলে ব্রোঞ্জ যুগের আরো দ্রব্য পাওয়া যেতে পারে। প্রচুর সম্পদ লুকিয়ে আছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে।