ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আমরা অবলম্বন করে থাকি। তবে তার সবগুলোই যে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে তা না। আসলে ওজন কমানোর জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শারীরিক প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। শুধু না খেয়ে ডায়েট করলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে না, এতে শুধুমাত্র শরীর দুর্বলই হয়। এছাড়া ডায়েট করারও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে।
সকালের নাস্তাটি আসলে অন্যান্য যেকোনো সময়ের খাবারের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দিনের একটি বিশেষ মুহূর্ত হল এই সকালের নাস্তা করার সময়। এই নাস্তাটির ওপরে নির্ভর করে একজনের সারাদিনের স্বাস্থ্য আর কার্যক্ষমতা। অনেকেই ওজনটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সকালের নাস্তা করেন না।
কিন্তু এর তাৎক্ষণিক ফলাফল হয়ত স্বাস্থ্যের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যত ফলফল শরীরের অসুস্থতা। এক্ষেত্রে আসুন জেনে নিই সকালের নাস্তার সঠিক নিয়মটি যা আপনার ওজনটিকেও নিয়ন্ত্রণ করবে পাশাপাশি শরীরকে অসুস্থ না করে ফিট রাখতে সহায়তা করবে।
১. কমপক্ষে ৮ গ্রাম ফাইবার সকালের নাস্তায় রাখুন :
আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চান পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তবে আপনার সকালের নাস্তাটিতে কমপক্ষে ৮ গ্রাম ফাইবার রাখার চেষ্টা করুন। সকালবেলা কখনই এমন ধরনের খাবার খাবেন না যেগুলো পেটে গ্যাস তৈরি করে। বরং পুষ্টিকর কিছু খাবার খান যা আস্তে আস্তে হজম হয় এবং সারাদিন আপনাকে কর্মক্ষম রাখে।
২. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকালের নাস্তা সেরে ফেলুন :
অনেকেই সকালের নাস্তাটি একটু দেরি করে খেয়ে থাকেন। কেননা ঘুম থেকে উঠেই খাওয়ার অভ্যাসটি তাদের থাকে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালের নাস্তাটি শরীরের বিপাকীয় কার্যে সহায়তা করে থাকে। তাই আপনি যদি ঘুম থেকে ওঠার ১ ঘন্টার মধ্যে আপনার সকালের নাস্তাটি সেরে ফেলেন তবে তা আপনার হজম ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. কম সুগার এবং বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার খান :
অতিরিক্ত সুগার সকালের খাবারের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে সহায়ক। তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার সকালের নাস্তাটি যেন কম সুগারসম্পন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া সকালে ক্যালরিসম্পন্ন খাবারের পরিবর্তে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, রুটি খান যা আপনার দেহের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকবে।
৪. পরিমাণটি নির্দিষ্ট করুন :
অনেকে ভেবে থাকেন যে খাবারের পরিমাণ বেশি হলেই ওজন বেড়ে যায়। এটা একেবারেই সঠিক ধারণা না। অঅপনি যদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অনেক বেশি পরিমাণেও খেয়ে থাকেন তবু আপনার ওজনটি স্বাভাবিক থাকবে।
অন্যথায় ক্যালরিযুক্ত খাবার অল্প খেলেই আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শরীরের প্রয়োজনে কমপক্ষে ৩৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা উচিৎ। আর সকালের খাবারের পরিমাণটিও নির্দিষ্ট করে ফেলা উচিৎ।
৫. নিয়ম করে সকালের নাস্তা করুন :
ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা না করা কোনোভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত না। এতে শরীর আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়া শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।