কিডনি দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যা রক্তকে পরিশোধিত করতে কাজ করে। লালচে এই অঙ্গটি শিড়দাঁড়ার পাশে এবং দেহের পেছনের অংশের মাঝামাঝি অবস্থান করে। কিডনি রোগ দেহে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে খাবারদাবারে একটু সচেতন হলে কিডনির সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভারতীয় ওয়েবসাইট টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে এমনই কিছু খাবারের পরামর্শ।
১. লাল ক্যাপসিকাম
লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে কম মাত্রার পটাশিয়াম। এটি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস। পাশাপাশি এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি সিক্স , ফলিক এসিড ও ফাইবার। রয়েছে লাইকোপেন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিছু কিছু ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। রান্নায় এটি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া সালাদ, স্ন্যাক ইত্যাদির মধ্যেও ব্যবহার করতে পারেন লাল ক্যাপসিকাম।
২. আপেল
আপেল দেহের বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা দেয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার আঁশ। রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি গুণ, যা প্রদাহরোধে কার্যকর।
৩. বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং আঁশ। এটি ভিটামিন বি সিক্স এবং ফলিক এসিডেরও ভালো উৎস। এটি পরিচিত ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসেবে। এটি হৃদযন্ত্রকেও ভালো রাখে।
৪. রসুন
রসুন দাঁতের প্লাক তৈরি হওয়া রোধে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমায় এবং দেহের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এটি কিডনির জন্য বেশ উপকারী খাবার।
৫. পেঁয়াজ
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে। বিশেষ করে রয়েছে কুয়ারসেটিন। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কাজ করে। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে অল্প পরিমাণে পটাশিয়াম। এটি ক্রোমিয়ামের ভালো উৎস। মিনারেলস রয়েছে যা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বির বিপাকে সাহায্য করে।