একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের নিজের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখা উচিত। যেমন এই কাজটা না করলে পস্তাব কি না, কী নিয়ে ভয় পাচ্ছি, মন কী বলছে, , এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত পরিবর্তনগুলো মেনে নিতে পারব কি না, সিদ্ধান্তটা কাজ না করলে করণীয় কী হবে ইত্যাদি।
সব সিদ্ধান্তই নেয় বাবা-মা । ধীরে ধীরে শৈশব থেকে কৈশোর কিংবা তরুণ বয়সে এসে নিজের সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে নিজেকেই নিতে হয়। সিদ্ধান্ত নেয়ার
ক্ষেএ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।
১/খুঁত বের করা
নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে যতটা না সময় খরচ করবেন তার ঠিক সমপরিমাণ সময় দিন সেটার খুঁত বের করার ক্ষেত্রে। আপনার কাজকে আপনার চাইতে আর কেউ ভালো জানেনা। তাই সেটার বাজে দিকগুলোও সবার চাইতে বেশি জানবেন আপনিই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে বাছাই করুন সেটার কি কি সমস্যা আছে আর তার সমাধান আপনার হাতের নাগালে কিনা।
২/আবেগ নয় বাস্তববাদী
যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে তিনটি বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। দেখতে হবে আসলেই সিদ্ধান্তটি সুস্থ মস্তিষ্কে নিচ্ছি নাকি আবেগের বশে খেয়ালি মনের ইশারাতে! সিদ্ধান্ত নেওয়া অল্প সময়ের কাজ হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী তাই সাবধানী হতে হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। আবেগ থাকতে পারবে না সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, হতে হবে বাস্তববাদী।
৩/আত্মবিশ্বাসী ইতিবাচক
টিনএজদের মাঝে এই পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা কিংবা বিশ্লেষণী ইচ্ছাশক্তি খুবই কম। ফলে যেকোনো কিছু তারা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে না এবং ভুল হয়ে যায় সিদ্ধান্ত নিতে। যার ফল হয় ভয়াবহ। মন খারাপ থেকে শুরু করে ঝগড়া কিংবা খারাপ পথে অগ্রসর হওয়ার মতো ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে শুধু একটি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। জীবনের যেকোনো বাস্তবতায় টেনশন থাকতে পারে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই টেনশন যেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রভাব না রাখে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশি থাকতে হবে ইতিবাচক।
৪/পরামর্শ ও ভবিষ্যতের চিন্তা
যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো জানতে হবে সেটি সম্পর্কে। নিজের অজ্ঞতা থাকলে অন্য কেউ যে জ্ঞান রাখে এই বিষয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবে নিজেই কিন্তু পরামর্শ করে নিতে হবে, তাতে সিদ্ধান্তে ভুল হওয়ার সুযোগ কম থাকে। চিন্তা করতে হবে ভবিষ্যতের— যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে কিংবা কী কী সুবিধা হতে পারে তা মাথায় রাখতে হবে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুবিধা হবে।
মনে রাখতে হবে, ব্যর্থতা সাময়িক, সফলতাও দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। তাই খারাপ কিংবা ভালো সময়ে হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে অনুতাপ করার চেয়ে এখন একটু সময় নিয়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সম্ভাব্য ফলাফলের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়াই উত্তম। এতে সিদ্ধান্ত যেমন সঠিক হবে, তেমনি দৃঢ় হবে সামনে এগোনোর মানসিকতা।